চকরিয়ায় করোনা মোকাবেলায় ‘রেড জোন’ চিহ্নিত এলাকায় লকডাউন ঘোষণা

রাজু দাশ, চকরিয়া ◑

করোনা ভাইরাসের মরণ থাবা ক্রমশ গ্রাস করছে কক্সবাজার চকরিয়ায় প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে এবং জনগণকে নিরাপদে রাখতে কিছু অংশ করোনা ঝুঁকিতে থাকায় ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পৌরসভা ও ডুলহাজারা ইউনিয়নের ২, ৩, ও ৮ নং ওয়ার্ড আংশিক ‘রেড জোন’ ঘোষণা করা হয়েছে। এসব এলাকায় ১৪ দিনের জন্য কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন।

শুক্রবার (৫ জুন) চকরিয়া উপজেলার বিশেষ আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় (চকরিয়া পেকুয়া) ১আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলম এমপি উপস্থিত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ এ উদ্যোগকে সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। এই বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের ফেসবুক ফেইজে আগামী দুই সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে।

উপজেলার বিশেষ আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় উপস্থিত ছিলেন, সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি মেজর মোহাম্মদ জোবায়ের, চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী, চকরিয়া থানার ওসি মো.হাবিবুর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, ডুলাহাজারা ইউপি চেয়ারম্যান মো.নুরুল আমিন, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু, সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) উপজেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, চকরিয়া পৌরসভা করোনা প্রাদুর্ভাব বেশিই শনাক্ত হচ্ছে।

“রেড জোন হিসাবে চিহ্নিত এলাকা গুলো রোববার ৭জুন বিকেল ৪ টা হতে ২১ জুন রোববার থেকে আগামী দুই সপ্তাহের জন্য কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রয়োজনুসারে লকডাউনের সময় আরও বাড়তে পারে। জরুরি কাজের সাথে জড়িতরা রেড জোনে সীমিত আকারে চলাচল করতে পারবেন। স্বাস্থ্য বিধি মেনে সপ্তাহে দুইদিন রবিবার ও বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শুধুমাত্র মুদি, কাঁচাবাজার মাছ বাজার এবং ওষুধের দোকান খোলা থাকবে। সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। প্রয়োজনে লকডাউনকৃত এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষকে সরকারিভাবে খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা দেয়া হবে বলে জানান ইউএনও সৈয়দ শামসুল তাবরীজ ।